Recent-Post

সিলেট ভ্রমণ সাথে রেমা কালেঙ্গা পর্যটন এলাকা

রেমা-কালেঙ্গা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক বনাঞ্চল । ১৯৮২ সালে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষনা করা হয় । হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত এই বনাঞ্চল কালেঙ্গা, রেমা, চাঁদবুড়ি ও রশিদপুর এই ৪ টি বিট নিয়ে গঠিত।
প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এই বনাঞ্চল একটি স্বর্গরাজ্য। ৩৭ প্রজাতি স্তন্যপায়ী, ১৬৭ প্রজাতি পাখি, ৭ প্রজাতি উভচর, ১৮ প্রজাতি সরীসৃপ আর ৬৩৮ প্রজাতি উদ্ভিদের এই বনে রাত্রীযাপন এক অসাধারন অভিজ্ঞতা।
বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি মানব বৈচিত্র্যর জন্য রেমা-কালেঙ্গা বিখ্যাত। এই বনে ত্রিপুরা, মুন্ডা, ওরাও সম্প্রদায়ের বসবাস।
জীববৈচিত্রের দিক দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বনাঞ্চল আমাদের এবারের গন্তব্য। এই বনে কয়েকটি ট্রেইল আছে হাইকিং এর জন্য। খুব ভোর বেলা বের হলে দেখা মিলবে অনেক পশু পাখির।
সম্ভাব্য ট্যুর প্ল্যান:
২১ জানুয়ারি রাত ৮.৩০ এ উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে চলে যাবো শায়েস্ততাগঞ্জ। মধ্যরাতে পৌছে স্টেশনে আড্ডা দিয়ে চা খেয়ে রাত পার করে দেব।
২২ জানুয়ারি -- সকালে রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে রওনা হবো কালেঙ্গার উদ্দেশ্যে। কালেঙ্গায় কটেজে ফ্রেশ হয়ে চলে যাবো কালেঙ্গার ৩ ঘন্টার ট্রেইলে। পথে দেখা মিলবে চশমাপড়া হনুমান সহ নানা পশুপাখি। হাটতে হাটতে আমরা পৌছে যাবো ঢেবরা বাড়ী। যেখানে দেববর্ম জনগোষ্ঠির বসবাস। বনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে চলে আসেবা কটেজে। রাতে বারবিকিউ করে ঘুমাতে যাবো।
২৩ জানুয়ারি -- সকালে উঠে চলে যাবো কালেঙ্গার ওয়াচ টাওয়ারে। দেখা মিলতে পারে হরিণ , বুনো শুকর, শকুন , ঈগল এবং রংবেরঙের নানা পাখি। 
সন্ধ্যায় ট্রেনে বা বাসে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হবো। আশা করি রাত ১১ টার ভেতর ঢাকা থাকবো।
###যাত্রার তারিখ ২১ জানুয়ারি -- রাত ৮.৩০ টা।
###ফেরার তারিখ ২৩ জানুয়ারি -- রাত ১১ টা ।
###সম্ভাব্য খরচঃ ৫০০০ টাকা জন প্রতি (১০০-২০০ টাকা কম বেশি হতে পারে)।
###আসন সংখ্যা -- ১২ জন।
###কাপলদের জন্য প্রতি কাপল ৫০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।
কনফার্ম করতে ব্যাংকে বা বিকাশ/রকেটে ৩০০০ টাকা অগ্রিম প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক হিসাব- MD. ATIUR RAHAMAN, ACCOUNT NUMBER 1633701000064 SONALI BANK LIMITED, COLLEGE GATE BRANCH.
বিকাশ/রকেট নাম্বার- 01816603299 (বিকাশ বা রকেটে টাকা পাঠালে ৩০৬০ টাকা পাঠাতে হবে।)
কনফার্ম করার লাস্ট ডেট -১০ জানুয়ারি।
### যা যা প্যাকেজে অন্তভুক্ত:
১। সকল পরিবহন খরচ।
২। ৬ বেলা খাবার।
৩। ২ বার হালকা নাস্তা।
৪। চা/কফি
৪। কটেজ থাকা।
৫। গাইড খরচ।
### যা যা প্যাকেজে অন্তুভুক্ত নয়:
১। ব্যক্তিগত মেডিসিন ও ব্যক্তিগত খরচ।
২। যাত্রা পথের ও যাত্রা বিরতির খাবার খরচ।
৩। টিপস।
###কনফার্ম করার আগে ভালো করে পড়ে নিন।
১। মোটামুটি এডভেঞ্চার টাইপ ট্রিপ। বেশ কিছু সময় হাটতে হবে।
২। মোবাইল নেটওয়ার্কের নাও পাওয়া যেতে পারে।।
৩। কোন দোকান বনের ভেতর থাকবে না। তাই নিজের সাথে কিছু শুকনা খাবার রাখতে হবে।
### যা যা সাথে নিতে হবে :
১। শীতের কাপড়।
২।ট্রেকিং এর জন্য হালকা জুতা।
৩। বড় পাতলা গামছা যাতে রোদের সময় মাথায় দিয়ে রোদ থেকে বাঁচতে পারেন
৪। টর্চ লাইট
৫। গ্লুকোজ /স্যালাইন
৬। অবশ্যই পানির বোতল।
৭। বাক্তিগত পোশাক
৮। যেহেতু ট্রেকিং ও হাইকিং ট্যুর তাই ব্যাকপ্যাক নিতে হবে। যত হালকা হবে তত বহন করতে সুবিধা হবে।
###বিশেষভাবে লক্ষনীয়###
১। একটি ভ্রমন পিপাসু মন থাকতে হবে।
২। ভ্রমনকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
৩। শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করতে হবে।
৪। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস ও রীতিনীতির ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে বন্ধুত্বপূণ আচরন করব এবং যথোপযুক্ত সস্মান প্রদর্শন করব।
৫। অনাকাঙ্খিত কারণে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে, যা আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিব।
৬। ইরাবতি ইকো টুরিজম এ বিশ্বাসী, টুরে যেয়ে প্রকৃতির কোন রকম ক্ষতি করা যাবে না। অপচনশীল বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক প্যাকেট, বোতল যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
৭। কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৮।ছেলে/মেয়ে সকলেই যেতে পারবেন।
যোগাযোগ :
আতিউর রহমান
01816603299

Post a Comment

0 Comments